মোথাবাড়ি

ফের বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা বেদরাবাদ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে! অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

আবারও বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো বেদরাবাদ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এর আগেও দুইবার বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু‌র অভিযোগ উঠেছিল এই হাসপাতাল থেকেই। ফের বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যু‌র ঘটনায় অস্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

 

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় একই পরিবারের ৪ জন ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে দূখু মন্ডল (৬৫), তার ছেলের বউ সরস্বতী মন্ডল সহ শিপ্রা ও সম্পা মন্ডল নামের ৯ ও ১০ বছরের দুই নাবালিকা নাতনি বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি হয়। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার নন্দলালপুর গ্রামে। ওই মৃত দুখু মন্ডলের পরিবারের সুত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় ভর্তির পরে ওই ব্যক্তি সহ অন্যান্যদের স্যালাইন দেওয়া হয় ডঃ বিশ্বাসের তৎপরতায়। তারপরেই শিফ্ট চেঞ্জ হ‌ওয়ায় নাইট ডিউটিতে আসে ডঃ কৃষ্ণচন্দ্র পোদ্দার। অভিযোগ, নাইট ডিউটিতে আসার পরে ডাক্তার পোদ্দার রোগীদের আর দেখতেই আসেননি। রোগীকে দেওয়া স্যালাইন শেষ হ‌ওয়ার পরেই রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এনিয়ে বারবার নার্স ও ডাক্তারের কাছে গেলে নার্স ও ডাক্তার কেউই তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। এমনকি স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে বলেও জানায় কর্তব্যরত নার্স। 

 

রোগীর পরিবারের লোকেরা ওষুধ লিখে চাইলেও তা লিখে দিতে অস্বীকার করে নার্স ও ডাক্তার কেসি পোদ্দার। এমনকি অভদ্র ভাবে তাদের সাথে কথাও বলেন ডাক্তার বাবু। আজ ভোর নাগাদ দুখু মন্ডল বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকেরা কাকুতিমিনতি করলেও সারা দেয়নি কেউই। এরপরে সকালে দুখু মন্ডলের মৃত্যু হলে খবর যায় কেসি পোদ্দারের কাছে। তিনি এসে দেখেন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তারপরেই নরেচরে বসেন তিনি। পরিবারের বাকি অসুস্থদের জন্য স্যালাইন লিখে দেন তিনি।

 

কিন্তু অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা জানায়, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার পরেই দুই বাক্স স্যালাইন অন্যান্যদের দিতে শুরু করে নার্সরা। তারা প্রশ্ন তোলেন, যেখানে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নার্সরা স্যালাইন নেই বলে জানায়, সেখানে রোগীর মৃত্যু হবার পরে কি করে দুই বাক্স স্যালাইন স্টকে দেখানো হয়।

 

বিএম‌ওএইচ দেবাঙ্কুর বর্মন জানান, ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে আমাদের, আমরা সম্পুর্ন বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, যদি কেউ দোষী হয় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

প্রশ্ন উঠছে, স্বাস্থ্য দফতর পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রতিটি হাসপাতালে সরবরাহ করছে, তবে এই প্রয়োজনীয় ওষুধ যাচ্ছে কোথায়? তবে কি কোনও অসাধু চক্র কাজ করছে হাসপাতাল চত্বরে ? কে কে বা এই চক্রের সাথে জড়িত? হাসপাতালের কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন থাকছেই !